ডেস্কটপে আগুন লাগিয়ে দিন !
Saturday, 28 July 2012
Tuesday, 10 July 2012
পাসওয়ার্ড দেখার সফটওয়্যার
বিভিন্ন সফটওয়্যারে বা অনলাইনে আমরা যে পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকি তা স্টার (*) বা ● হিসাবে দেখা যায়। ফলে আপনার টাইপ করা পাসওয়ার্ডের লেখা (টেক্সট) দেখা যায় না। কোন কারণে আপনি যদি পাসওয়ার্ড দেখতে চান তাহলে পাসওয়ার্ড ভিউয়ার সফটওয়্যারের সাহায্যে দেখতে পারেন। ১১৩ কিলোবাইটের ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যারটি
http://www.ziddu.com/download/19889144/password-viewer.zip.htmlথেকে ডাউনলোড করা যাবে। এবার জিপ ফাইলটি আনজিপ করে PwViewer রান করে হাতের উপরে মাউস ধরে উপরের টারগেটটি যেকোন পাসওয়ার্ডের উপরে নিয়ে গেলে পাসওয়ার্ডির লেখা (টেক্সট) দেখাবে।
http://www.ziddu.com/download/19889144/password-viewer.zip.htmlথেকে ডাউনলোড করা যাবে। এবার জিপ ফাইলটি আনজিপ করে PwViewer রান করে হাতের উপরে মাউস ধরে উপরের টারগেটটি যেকোন পাসওয়ার্ডের উপরে নিয়ে গেলে পাসওয়ার্ডির লেখা (টেক্সট) দেখাবে।
ইচ্ছে মত বদলে ফেলুন আপনার ড্রাইভের আইকন
ড্রাইভের আইকন চেঞ্জ করার জন্য প্রয়োজন Autorun.inf ফাইল এবং আপনার পছন্দ মত একটি আইকন।
ধরুন আপনার আইকনটির নাম MY ICON
এবার Autorun.inf ফাইল তৈরি করার জন্য একটি নোটপ্যাড খুলে নিচের সংকেত গুলো লিখুন এবং Autorun.inf নামে সেভ করুন।
[autorun]
ICON=MY ICON.ico
***********************
দেখবেন Autorun.inf ফাইল তৈরি হয়েগেছে।
এবার আপনার পছন্দের আইকন এবং autorun ফাইলটি আপনার পছন্দের ড্রাইভে পেষ্ট করুন।
ফাইল দুটি হিভেন করে কম্পিউটার রিস্টাট করলে দেখবেন আপনার ড্রাইভের আইকন চেঞ্জ হয়েগেছে।
এভাবে আপনার সব ড্রাইভের আইকন ইচ্ছে মত চেঞ্জ করতে পারেন।
ধরুন আপনার আইকনটির নাম MY ICON
এবার Autorun.inf ফাইল তৈরি করার জন্য একটি নোটপ্যাড খুলে নিচের সংকেত গুলো লিখুন এবং Autorun.inf নামে সেভ করুন।
[autorun]
ICON=MY ICON.ico
***********************
দেখবেন Autorun.inf ফাইল তৈরি হয়েগেছে।
এবার আপনার পছন্দের আইকন এবং autorun ফাইলটি আপনার পছন্দের ড্রাইভে পেষ্ট করুন।
ফাইল দুটি হিভেন করে কম্পিউটার রিস্টাট করলে দেখবেন আপনার ড্রাইভের আইকন চেঞ্জ হয়েগেছে।
এভাবে আপনার সব ড্রাইভের আইকন ইচ্ছে মত চেঞ্জ করতে পারেন।
ইউটিউব থেকে উচ্চমানের ভিডিও ডাউনলোড করুন
ভিডিও শেয়ারিং সাইটগুলো এখন বেশ জনপ্রিয়। এর মধ্যে গুগলের ইউটিউব থেকে ভিডিও আপলোড এবং ডাউনলোড হয় সবচেয়ে বেশী। কিন্তু অনলাইনের এই সব ভিডিওগুলো ফ্লাশ বেসড হওয়াতে এগুলোর বেজুলেশন বেশী থাকে না ফলে পর্দাজুড়ে দেখলে ভাল দেখায় না। আবার অন্য ফরম্যাটে কনভার্ট করলেও একই অবস্থা থাকে। সাধারণত ইউটিউব থেকে যে ভিডিওগুলো ডাউনলোড করি সেগুলো 320×240 রেজুলেশনের হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি নতুন ভিডিও ডাউনলোড করতে চান তাহলে তা আরো উচ্চ রেজুলেশনে ডাউনলোড করতে পারেন। আপনি যদি http://youtube.com/watch?v=E2s14T6×5AM ঠিকানার ভিডিও ডাউনলোড করেন তাহলে তা 320×240 রেজুলেশনে ডাউনলোড হবে। আর উপরোক্ত ভিডিওএর ঠিকানার শেষে &fmt=6 যুক্ত করে ডাউনলোড করলে তা 448×336 রেজুলেশনে ডাউনলোড হবে। আর যদি শেষে &fmt=18 যুক্ত করে ডাউনলোড করলে তা 480×360 রেজুলেশনে ডাউনলোড হবে। উচ্চ রেজুলেশনে ভিডিও ডাউনলোড পুরাতন ভিডিওর ক্ষেত্রে নাও হতে পারে তবে নতুন আপলোড করা ভিডিও এভাবে উচ্চ রেজুলেশন ডাউনলোড হবে।
*মোবাইলের সিকিউরিটি কোড উদ্ধার করুন
আমরা অনেক সময় মোবাইলের ডিফল্ট সিকিউরিটি কোড পরিবর্তন করে ফেলি কিন্তু যদি পাসওয়ার্ড ভুলে যাই তখন ফ্লাশ দেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। যারা এ ধরনের সমস্যায় পড়েছেন তারা Security Code Reader নামের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন
এখান থেকে
এবার সেটআপ করে সফটওয়্যারটি ওপেন করুন
এবার com/usb cable এর মাধ্যমে connect করুন
connection type নির্বাচন করুন
phone type নির্বাচন করুন
এবার read বাটনে ক্লিক করুন
এবার দেখুন আপনার সিকিউরিটি কোড show করছে.Download link
http://www.ziddu.com/download/19888974/Setup3.exe.html
এখান থেকে
এবার সেটআপ করে সফটওয়্যারটি ওপেন করুন
এবার com/usb cable এর মাধ্যমে connect করুন
connection type নির্বাচন করুন
phone type নির্বাচন করুন
এবার read বাটনে ক্লিক করুন
এবার দেখুন আপনার সিকিউরিটি কোড show করছে.Download link
http://www.ziddu.com/download/19888974/Setup3.exe.html
*এসএমএস ফ্রী
অনেকদিন ধরেই ওয়েব সাইটে ফ্রি sms দেবার সাইট খুজতেছিলাম কিন্তু যেখানেই যাই তারা কোন না কোন শর্ত দেয় বা তার তালিকায় অভাগা বাংলাদেশ আর থাকেনা,কিন্তু আমি যে সাইট এর কথা বলবো তাহা ফ্রি এবং বাংলাদেশে sms যায়। আমি করেছি। ইহা খুবই কার্যকর। গ্রামীনফোনে ভালো যায়। sms করে দেখতে পারেন। link
http://www.5-sms.de/
http://www.just-sms.eu/
http://www.5-sms.de/
http://www.just-sms.eu/
Sunday, 8 July 2012
সহজে PDF ফাইল পড়ুন
আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি, তারা কম-বেশী সবাই PDF ফাইল পড়ে থাকি।
এবং পড়ার জন্য বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে Adobe এর Acrobate Reader ব্যবহার করে
থাকি। কিন্তু এই সফটওয়ারটি খুব ভারী, লোড হতে অনেক সময় নেয়। বিশেষ করে যারা
লো-কনফিগার পিসি ব্যবহার করে তাদের জন্য এটা বিরক্তির কারন হয়ে দাড়ায়। এই
সমস্যা সমাধানের জন্য একটি ভালো সফটওয়ার আছে, যা মাত্র 3.8 MB এবং লোড হতে
খুবই কম সময় নেয়। সফটওয়ারটির নাম Foxit PDF Reader.
নিচে সফটওয়ারটির লিণ্ক দেয়া হোল
http://www.foxitsoftware.com/
আপনারা এই সফটওয়ারটি ব্যবহার করে দেখুন।
তৈরী করুন নিজের Font
আমরা যারা বাংলা কম্পিউটিং করতে আগ্রহী তাদের কাছে ফ্রন্ট মুল বিষয় ।বাংলায় অনেক ফ্রন্ট বিনামূল্যে পাওয়া যায় তবে তা কি নিজের মতো কিংবা নিজে হাতের লেখার মতো হবে ? আমার মতো দেখতে যেমন কেউ নাই পৃথিবীতে তেমনি আমার হাতের লেখাও কারো সাথে মিলবে না ।যদি এমন হয় আমার হাতের লেখা অক্ষর গুলো কীবোর্ডের মাধ্যমে লেখা যায় তো মন্দ হতোনা।ফ্রন্ট তৈরী করার সফট টি আপনাকে সে সুযোগ করে দিবে ।এখানে কিলি্ক সফটি নামানো যাবে।আপনাকে প্রথমে কীবোর্ড লে-আউট তৈরী করতে হবে তারপর আপনার অক্ষর গুলো ডিজাইন করে সফটে ইনপুট করুন এবং মার্জিত ভাবে আপনার ডিজাইন করা অক্ষর গুলো আপনার কীবো্র্ড এর লে-আউট অনুসারে বসান আর যদি ইচ্ছে করেন আপনার হাতের লেখাগুলো scanner সাহায্য scan করে ইনপুট করতে পারেন কিংবা বিভিন্ন ছবি তৈরী করা সফট ও ব্যবহার করে আপনার অক্ষর গুলো ডিজাইন করতে পারেন।আপনার তৈরী ফ্রণ্ট বাংলা অক্ষর গুলো কে আরো সহজ ও সুন্দর করবে ।সফটটি কী জন্য এখানে কিল্কি করুন।
গুগল ম্যাপস বা আর্থের আপডেটের নোটিফিকেশন পাওয়া
নিজ এলাকা বা পছন্দের এলাকার ছবি (স্যাটলাইট ভিউ) যখন গুগল ম্যাপস বা আর্থে
আপডেটে হয় এবং তার নোটিফিকেশন মেইলের মাধ্যমে যদি জানতে পাওয়া যায় তাহলে
নতুন ছবি জন্য গুগল ম্যাপস বা আর্থে আপডেট দেখতে যেতে হবে না। যখনই মেইল আসবে তখন নতুন ছবি গুগল ম্যাপস বা আর্থে গিয়ে দেখা যাবে। বিভিন্ন
স্থান ভেদে গুগল প্রতি মাসে এমনকি বছরে স্যাটলাইট ছবি আপডেট করে। গুগল
ম্যাপ বা আর্থের আপডেটের নোটিফিকেশন পাওয়াও অ্যাপসটি হচ্ছে
followyourworld।

এজন্য https://followyourworld.appspot.com সাইটে গিয়ে Login and Add a Point বাটনে ক্লিক কর্বন এবং গুগল অ্যাকাউন্ট দ্বারা লগইন কর্বন।
এবার নিজের এলাকা বা পছন্দের এলাকা খুঁজে বেড় কর্বন। এখানে তিন ভাবে নির্দিষ্ট এলাকা পাওয়া যাবে। প্রথমত এলাকার নাম খুঁজে, দ্বিতীয়ত ম্যাপস ড্রাগ করে এবং তৃতীয়ত অৰাংশ ও দ্রাঘিমাংশ লিখে।
নির্দিষ্ট এলাবা খুঁজে Submit বাটনে ক্লিক করে সাবমিট কর্বন। তাহলে উক্ত এলাকা ছবি যখনই যতবারই আপডেট হবে তার নোটিফিকেশন আপনার মেইলে চলে আসবে।
পরবর্তীতে কোন এলাকার নোটিফিকেশন বন্ধ করতে বা মুছে ফেলতে চাইলে Dashboard এ গিয়ে করা যাবে।
এজন্য https://followyourworld.appspot.com সাইটে গিয়ে Login and Add a Point বাটনে ক্লিক কর্বন এবং গুগল অ্যাকাউন্ট দ্বারা লগইন কর্বন।
এবার নিজের এলাকা বা পছন্দের এলাকা খুঁজে বেড় কর্বন। এখানে তিন ভাবে নির্দিষ্ট এলাকা পাওয়া যাবে। প্রথমত এলাকার নাম খুঁজে, দ্বিতীয়ত ম্যাপস ড্রাগ করে এবং তৃতীয়ত অৰাংশ ও দ্রাঘিমাংশ লিখে।
নির্দিষ্ট এলাবা খুঁজে Submit বাটনে ক্লিক করে সাবমিট কর্বন। তাহলে উক্ত এলাকা ছবি যখনই যতবারই আপডেট হবে তার নোটিফিকেশন আপনার মেইলে চলে আসবে।
পরবর্তীতে কোন এলাকার নোটিফিকেশন বন্ধ করতে বা মুছে ফেলতে চাইলে Dashboard এ গিয়ে করা যাবে।
সৌর কোষ কিভাবে কাজ করে?
সৌর বিপ্লবের কথা আমরা বেশ কিছু বছর যাবৎ শুনে আসছি, যার মূল মন্ত্র হল -
এমন একদিন আসবে যখন আমরা বিনা খরচে বিদ্যুৎ ব্যবহার করব। এই বিদ্যুতের মূল
উৎস হল সূর্য। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, একটি রৌদ্রোজ্ঞ্বল দিনে সূর্য
পৃথিবী পৃষ্ঠের প্রতি বর্গ একক ক্ষেত্রফলে ১০০০ ওয়াট সমপরিমাণ আলোক শক্তি
বিকিরণ করে!! যদি এই শক্তির পুরোটা সংগ্রহ করতে পারি তবে আমরা আমাদের
ঘরবাড়ি এবং অফিস আদালত প্রভৃতিকে সম্পূর্ণরূপে বিদ্যুতায়িত করতে পারব।
ক্যালকুলেটর বা স্যাটেলাইটে যে সৌরকোষসমূহ আমরা দেখি সেগুলো হল photo voltaic কোষ বা module (module হল একই ফ্রেমে অবস্থিত একগুচ্ছ কোষ যারা ইলেক্ট্রিকালি সংযুক্ত থাকে)। Photo অর্থ হল আলো এবং Voltaic মানে হল তড়িৎ। অর্থাৎ Photo voltaic cell বলতে বোঝায় আলোকতড়িৎ কোষ, যা আলোকশক্তিকে তড়িৎ-এ রূপান্তরিত করে।
আলোকতড়িৎ কোষসমূহ অর্ধপরিবাহী (Semiconductor) পদার্থ দিয়ে গঠিত। বর্তমানে সিলিকন নামক অর্ধপরিবাহী বেশি ব্যবহৃত হয়। মূলত, যখন আলো এই কোষে এসে পড়ে তখন এই আলোর একটি নির্দিষ্ট অংশ অর্ধপরিবাহী কর্তৃক শোষিত হয়। এই আলোক শক্তি ইলেক্ট্রনকে পরমাণু হতে মুক্ত করে এবং ফলে ইলেক্টন গুলো স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে। আলোকতড়িৎ কোষসমূহের প্রত্যেকের এক বা একাধিক তড়িৎক্ষেত্র থাকে যে বা যারা মুক্ত ইলেক্ট্রন গুলোকে একটি নির্দিষ্ট দিকে চলতে বাধ্য করে। এই ইলেক্ট্রনের প্রবাহই হল বিদ্যুৎপ্রবাহ সৃষ্টি করে। কোষগুলোর উপরে ও নিচে ধাতব পাত সংযুক্ত করে এই বিদ্যুৎকে বাইরে প্রবাহিত করা হয়।
ইহাই হল মূল প্রক্রিয়া, কিন্তু প্রকৃত ঘটনা আরও গভীর। একটি সিলিকন নির্মিত কোষ নিয়ে প্রকৃত ঘটনা আরও গভীরভাবে দেখা যাক -
সিলিকনের কিছু বিশেষ রাসায়নিক গুণাবলী রয়েছে। একটি সিলিকন পরমাণুতে ১৪ টি ইলেক্ট্রন রয়েছে, যারা ৩ টি ভিন্ন ভিন্ন শক্তিস্তরে সজ্জিত রয়েছে। কেন্দ্রের নিকটবর্তী প্রথম দুটি স্তর ইলেক্টন দ্বারা পূর্ণ থাকে। সর্বশেষ স্তরটি অর্ধপূর্ণ থাকে, অর্থাৎ ৪ টি ইলেক্ট্রন থাকে। প্রতিটা সিলিকন পরমাণু সর্বদা শেষ স্তরটি পরিপূর্ণ করতে চায়, অর্থাৎ ৮ টি ইলেক্ট্রন অর্জন করতে চায়। এই উদ্দ্যেশে, প্রতিটি সিলিকন পরমাণু কাছাকাছি অবস্থিত চারটি পরমাণুর সাথে ইলেক্ট্রন শেয়ার করে। অর্থাৎ প্রতিটি পরমাণু পার্শবর্তী পরমাণুর সাথে বন্ধন গঠন করে। মনে হয় যেন, প্রতিটি পরমাণু চারটি হাত দিয়ে অপর চারটি পরমাণুকে ধরে রাখে। এভাবে স্ফটিকাকার কাঠামো গঠিত হয়, যা আলোকতড়িৎ কোষের জন্য প্রয়োজনীয়।
এতক্ষন আমরা বিশুদ্ধ সিলিকন স্ফটিক নিয়ে আলোচনা করলাম। বিশুদ্ধ সিলিকন মোটামুটিভাবে বিদ্যুৎ অপরিবাহী, কারণ এতে স্বাভাবিক অবস্থাতে কোন মুক্ত ইলেক্ট্রন নেই। সৌরকোষ হিসেবে এই সিলিকনকে ব্যবহার করতে হলে সিলিকন স্ফটিকে সামান্য পরিবর্তন সাধন করতে হয়।
একটি সৌরকোষে ভেজালযুক্ত বা অবিশুদ্ধ সিলিকন ব্যবহৃত হয়। সিলিকন পরমাণুসমূহের সাথে অন্য পরমাণু মিশ্রিত করে অবিশুদ্ধ সিলিকন প্রস্তুত করা হয়। ফলে এই সিলিকনের কার্যকারিতা পরিবর্তিত হয়। সাধারনত আমরা ভেজালকে অনাকাংক্ষিত মনে করলেও, এক্ষেত্রে ভেজাল-ই কোষের সম্পূর্ণ কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রকৃতপক্ষে এই ভেজাল ইচ্ছে করেই দেওয়া হয়। প্রতি মিলিয়ন সিলিকনের মধ্যে একটি করে ফসফরাস পরমাণুর উপস্থিতি বিবেচনা করা যাক। ফসফরাস পরমাণুর সর্ববহিস্থঃ স্তরে ৫ টি ইলেক্ট্রন রয়েছে। এই পরমাণুর চারটি ইলেক্ট্রন পার্শ্ববর্তী চারটি সিলিকনের সাথে আবদ্ধ থাকলেও একটি ইলেক্ট্রন মুক্তই থেকে যায়, যা কোন বন্ধনে আবদ্ধ থাকে না।
যখন বিশুদ্ধ সিলিকন শক্তিপ্রাপ্ত হয় (যেমন তাপ হতে প্রাপ্ত শক্তি), তখন কিছু ইলেক্ট্রন বন্ধন মুক্ত হয়ে তাদের পরমাণুকে ত্যাগ করে। প্রতিটি ইলেক্ট্রন ত্যাগের ফলে একটি করে হোল তৈরি হয়। এই ইলেক্ট্রনগুলো তখন সিলিকন স্ফটিকের মধ্যে অনবরত ছুটে বেড়ায় এবং হোল খুঁজে বেড়ায় তাতে পড়ার জন্য। এই ইলেক্তড়নগুলোকে মুক্ত বাহক বলে এবং এরাই বিদ্যুৎ পরিবহন করে। বিশুদ্ধ সিলিকনে এই ইলেক্ট্রনের সংখ্যা এতই কম যে তারা তড়িৎ পরিবহনে কোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেনা। ফলে বিশুদ্ধ সিলিকন এক অর্থে বিদ্যুৎ অপরিবাহী। কিন্তু ফসফরাস যুক্ত ভেজাল সিলিকনের কথা আলাদা। এক্ষেত্রে ফসফরাসের বাড়তি ইলেক্ট্রনগুলো খুব অল্প পরিমাণ শক্তিতেই মুক্ত হয়ে যায়- কেননা এই ইলেক্ট্রনগুলো কোন বন্ধনে আবদ্ধ থাকে না। ফলে বিশুদ্ধ সিলিকনের তুলনায় ভেজাল সিলিকনে তড়িৎ পরিবহনের জন্য অনেক বেশি বাহক পাওয়া যায়।বিশুদ্ধ সিলিকনের সাথে ভেজাল মেশানোকে ডোপিং বলা হয়। যখন ফসফরাস মেশানো হয় তখন প্রাপ্ত ভেজাল সিলিকনকে N-type সিলিকন বলা হয়। এক্ষেত্রে ইলেক্ট্রন বাহক হিসেবে কাজ করে এবং ইহার চার্জ negative বলে "n"-type বলা হয়। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে, ডোপিংকৃত সিলিকন বিশুদ্ধ ইলেক্ট্রনের চাইতে বেশ ভাল বিদ্যুৎ পরিবাহক।
প্রকৃতপক্ষে, সৌর কোষের এক অংশ হল N-type. অন্য অংশ বোরন দিয়ে ডোপিং করা হয়, যাকে P-type সিলিকন বলে। বোরনের সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে ৩ টি ইলেক্ট্রন রয়েছে। ফলে P-type সিলিকনে বাড়তি ইলেক্ট্রন থাকার পরিবর্তে বাড়তি হোলের সৃষ্টি হয়, যা তড়িৎ বাহক হিসেবে কাজ করে। ইলেক্ট্রনের অনুপস্থিতিই হল হোল, তাই হোলের চার্জ ইলেক্ট্রনের চার্জের বিপরীত অর্থাৎ positive। হোলের চার্জ positive বলেই "p"-type বলা হয়। হোলগুলোও ইলেক্ট্রনের মতই চলাচল করে।
আশ্চর্যজনক ঘটনা তখনই ঘটে যখন N-type এবং P-type সিলিকনকে একত্রে রাখা হয়। এই দুইধরণের সিলিকনকে সংযুক্ত করলে সংযোগস্থলে একটি তড়িৎক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। এই তড়িৎক্ষেত্র ছাড়া আলোক-তড়িৎ কোষ (Photovoltaic cell) কোনভাবেই কাজ করবে না। অর্থাৎ প্রতিটি আলোক-তড়িৎ কোষে কমপক্ষে একটি তড়িৎক্ষেত্র থাকতেই হবে।
এখন দেখা যাক N-type ও P-type সিলিকনকে সংযুক্ত করলে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটে। N-type-এর মুক্ত ইলেক্ট্রনগুলো P-type-এর মধ্যে হোলগুলোকে খুঁজে পায় এবং খুব দ্রুত গিয়ে হোলগুলো পূর্ণ করে। ফলে সংযোগস্থলের N-type-এর দিকে positive charge এবং N-type-এর দিকে negative charge-এর সৃষ্টি হয়।এখন প্রশ্ন হলো যে, সকল মুক্ত ইলেক্ট্রন-ই কি হোলগুলোকে পূর্ণ করে। না, কেননা সংযোগস্থলে একটি তড়িৎক্ষেত্রের সৃষ্টি হয় যার দিক এমন হয় যা কিনা N-type থেকে আরও ইলেক্ট্রনকে P-type-এর দিকে আসতে বাধা হিসেবে কাজ করে।ফলে একসময় একটি সাম্যাবস্থার সৃষ্টি হয় যখন সৃষ্ট তড়িৎক্ষেত্র দুই পার্শ্বকে আলাদা করে রাখে।
চিত্র ১- আলোক তড়িৎ কোষে তড়িৎ ক্ষেত্রের প্রভাব
এখন আমরা দেখব যে, এই অবস্থায় আলো পড়লে কি ঘটে। যখন ফোটন (আলোক কণা) সৌরকোষকে আঘাত করে তখন ইলেক্ট্রন-হোল জোড়া ভেঙ্গে যায় এবং ফলে ইলেক্ট্রন মুক্ত হয়।পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তিবিশিষ্ট প্রতিটি ফোটন কেবলমাত্র একটি ইলেক্ট্রনকে মুক্ত করে এবং সেইসাথে একটি হোল-ও সৃষ্টি হয়। এই ঘটনাটি যদি সৃষ্ট তড়িৎক্ষেত্রের কাছে ঘটে অথবা সৃষ্ট ইলেক্ট্রন ও হোল তড়িৎক্ষেত্রের প্রভাবযুক্ত অঞ্চলের আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়, তবে তড়িৎক্ষেত্রটি N-type-এর দিকে একটি ইলেক্ট্রন এবং P-type-এর দিকে একটি হোল পাঠায়। এই অবস্থায় যদি বাইরে দিয়ে কোন সংযোগের ব্যাবস্থা করা হয়, তবে ইলেক্ট্রনগুলো সেই পথ দিয়ে P-type এলাকায় গিয়ে পৌঁছায় এবং হোল-এ এসে পড়ে। ইলেক্ট্রনের এই প্রবাহই তড়িৎপ্রবাহ সৃষ্টি করে এবং কোষটির তড়িৎক্ষেত্র একটি বিভব পার্থক্য বজায় রাখে। তড়িৎপ্রবাহ এবং বিভব পার্থক্য-এই দুইয়ের সম্মিলনে Power পাই যাকিনা এদের গুণফলের সমান।
চিত্র ২- আলোক তড়িৎ কোষের কার্যপদ্ধতি
এখন প্রশ্ন হলো- এই আলোকতড়িৎ কোষ কি পরিমাণ সৌরশক্তি শোষণ করতে পারে? দুঃখজনক হলেও ইহা সত্য যে, বেশিরভাগ কোষ মোট সৌরশক্তির শতকরা মাত্র ২৫ ভাগ শোষণ করতে পারে।
সূর্যের আলোতে বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো রয়েছে যাদের ফোটনের শক্তিও ভিন্ন ভিন্ন। যেহেতু সৌরকোষের উপর আপতিত আলোর ফোটনের শক্তি বিভিন্ন, তাই ইলেক্ট্রন-হোলযুগল সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত শক্তি সকল ফোটনের থাকেনা। যে আলো ইলেক্ট্রন-হোলযুগল সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়, সেই আলো সৌরকোষকে অতিক্রম করে চলে যায়। কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তির চেয়ে বেশি পরিমাণ শক্তি থাকলেই সেই ফোটন ইলেক্ট্রনকে মুক্ত করতে পারে। স্ফটিকাকার সিলিকনের জন্য এই শক্তির মান হলো 1.1eV (ইলেক্ট্রন ভোল্ট)। শক্তির এই মানকে আমরা Band gap energy বলি। কোন ফোটনের যদি এই শক্তির চাইতে বেশি পরিমাণ শক্তি থাকে তবে উদবৃত্ত শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।এভাবে সৌরশক্তির শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ নষ্ট হয়ে যায়।
এখন প্রশ্ন হলো যে,আরও বেশি ফোটনকে কাজে লাগানোর জন্য কেন আমরা আরও কম band gap energy বিশিষ্ট পদার্থ ব্যবহার করিনা? দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, band gap energy-ই সৃষ্ট তড়িৎক্ষেত্রের শক্তি নির্দেশ করে। অর্থাৎ কম band gap energy বিশিষ্ট পদার্থের দ্বারা সৃষ্ট কোষে বিভব পার্থক্যের মান নগণ্য হবে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। মোটামুটিভাবে 1.4eV শক্তিকে সৌরকোষের জন্য আদর্শ মান হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
সৌরকোষে ফোটনের শক্তি সংক্রান্ত অপচয় ছাড়াও আরও কিছু অপচয় রয়েছে। ইলেক্ট্রনগুলো কোষের বাইরের সংযোগ দিয়ে প্রবাহিত হয়। কোষের নিচের অংশ ভাল তড়িৎপরিবাহিতার জন্য ধাতব পদার্থ দিয়ে মুড়ে দেয়া হয়। কিন্তু উপরের অংশও যদি পূর্ণভাবে ঢেকে দেয়া হয়, তবে ফোটন অস্বচ্ছ তড়িৎপরিবাহী পদার্থ দিয়ে যেতে পারবে না এবং তড়িৎপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই কিছুক্ষেত্রে স্বচ্ছ তড়িৎপরিবাহী পদার্থ ব্যবহার করা হয়। যদি আমরা ধাতব সংযোগ শুধুমাত্র দুই পাশে দেই তবে সংযোগস্থলে পৌঁছাবার জন্য ইলেক্ট্রনগুলোকে বেশ খানিকটা পথ অতিক্রম করতে হবে। যেহেতু সিলিকনের রোধ বেশি এবং ইহা ধাতুর মত ভাল তড়িৎপরিবাহী নয় সেহেতু ইহার মধ্য দিয়ে বেশখানিকটা পথ অতিক্রম করা ইলেক্ট্রনের জন্য কঠিন হবে। ফলে অপচয় বেড়ে যাবে। এই অপচয় কমাবার জন্য ধাতব grid দ্বারা কোষগুলোকে মুড়ে দেওয়া হয়। ফলে ইলেক্ট্রনগুলোকে আর অধিক পথ অতিক্রম করতে হয়না।
আরও একটি সমস্যা রয়েছে। তা হলো- সিলিকন হলো একটি উজ্জ্বল পদার্থ। ফলে এতে আপতিত ফোটনের অনেকাংশ প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যায়। এই কারণে কোষটির উপরের অংশ অপ্রতিফলক পদার্থ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।পরিশেষে কোষগুলোকে কাঁচের তৈরি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় যেন কোষ অন্যকোন পদার্থের সংস্পর্শে আসতে না পারে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিভব এবং বিদ্যুৎ পাবার জন্য বেশ কিছু কোষ (সাধারণত ৩৬টি) প্রয়োজন অনুযায়ী সংযুক্ত করে PV module তৈরি করা হয়। তারপর কাঁচের ঢাকনা দিয়ে পুরো module টিকে ঢেকে দেওয়া হয়।
ক্যালকুলেটর বা স্যাটেলাইটে যে সৌরকোষসমূহ আমরা দেখি সেগুলো হল photo voltaic কোষ বা module (module হল একই ফ্রেমে অবস্থিত একগুচ্ছ কোষ যারা ইলেক্ট্রিকালি সংযুক্ত থাকে)। Photo অর্থ হল আলো এবং Voltaic মানে হল তড়িৎ। অর্থাৎ Photo voltaic cell বলতে বোঝায় আলোকতড়িৎ কোষ, যা আলোকশক্তিকে তড়িৎ-এ রূপান্তরিত করে।
আলোকতড়িৎ কোষসমূহ অর্ধপরিবাহী (Semiconductor) পদার্থ দিয়ে গঠিত। বর্তমানে সিলিকন নামক অর্ধপরিবাহী বেশি ব্যবহৃত হয়। মূলত, যখন আলো এই কোষে এসে পড়ে তখন এই আলোর একটি নির্দিষ্ট অংশ অর্ধপরিবাহী কর্তৃক শোষিত হয়। এই আলোক শক্তি ইলেক্ট্রনকে পরমাণু হতে মুক্ত করে এবং ফলে ইলেক্টন গুলো স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে। আলোকতড়িৎ কোষসমূহের প্রত্যেকের এক বা একাধিক তড়িৎক্ষেত্র থাকে যে বা যারা মুক্ত ইলেক্ট্রন গুলোকে একটি নির্দিষ্ট দিকে চলতে বাধ্য করে। এই ইলেক্ট্রনের প্রবাহই হল বিদ্যুৎপ্রবাহ সৃষ্টি করে। কোষগুলোর উপরে ও নিচে ধাতব পাত সংযুক্ত করে এই বিদ্যুৎকে বাইরে প্রবাহিত করা হয়।
ইহাই হল মূল প্রক্রিয়া, কিন্তু প্রকৃত ঘটনা আরও গভীর। একটি সিলিকন নির্মিত কোষ নিয়ে প্রকৃত ঘটনা আরও গভীরভাবে দেখা যাক -
সিলিকনের কিছু বিশেষ রাসায়নিক গুণাবলী রয়েছে। একটি সিলিকন পরমাণুতে ১৪ টি ইলেক্ট্রন রয়েছে, যারা ৩ টি ভিন্ন ভিন্ন শক্তিস্তরে সজ্জিত রয়েছে। কেন্দ্রের নিকটবর্তী প্রথম দুটি স্তর ইলেক্টন দ্বারা পূর্ণ থাকে। সর্বশেষ স্তরটি অর্ধপূর্ণ থাকে, অর্থাৎ ৪ টি ইলেক্ট্রন থাকে। প্রতিটা সিলিকন পরমাণু সর্বদা শেষ স্তরটি পরিপূর্ণ করতে চায়, অর্থাৎ ৮ টি ইলেক্ট্রন অর্জন করতে চায়। এই উদ্দ্যেশে, প্রতিটি সিলিকন পরমাণু কাছাকাছি অবস্থিত চারটি পরমাণুর সাথে ইলেক্ট্রন শেয়ার করে। অর্থাৎ প্রতিটি পরমাণু পার্শবর্তী পরমাণুর সাথে বন্ধন গঠন করে। মনে হয় যেন, প্রতিটি পরমাণু চারটি হাত দিয়ে অপর চারটি পরমাণুকে ধরে রাখে। এভাবে স্ফটিকাকার কাঠামো গঠিত হয়, যা আলোকতড়িৎ কোষের জন্য প্রয়োজনীয়।
এতক্ষন আমরা বিশুদ্ধ সিলিকন স্ফটিক নিয়ে আলোচনা করলাম। বিশুদ্ধ সিলিকন মোটামুটিভাবে বিদ্যুৎ অপরিবাহী, কারণ এতে স্বাভাবিক অবস্থাতে কোন মুক্ত ইলেক্ট্রন নেই। সৌরকোষ হিসেবে এই সিলিকনকে ব্যবহার করতে হলে সিলিকন স্ফটিকে সামান্য পরিবর্তন সাধন করতে হয়।
একটি সৌরকোষে ভেজালযুক্ত বা অবিশুদ্ধ সিলিকন ব্যবহৃত হয়। সিলিকন পরমাণুসমূহের সাথে অন্য পরমাণু মিশ্রিত করে অবিশুদ্ধ সিলিকন প্রস্তুত করা হয়। ফলে এই সিলিকনের কার্যকারিতা পরিবর্তিত হয়। সাধারনত আমরা ভেজালকে অনাকাংক্ষিত মনে করলেও, এক্ষেত্রে ভেজাল-ই কোষের সম্পূর্ণ কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রকৃতপক্ষে এই ভেজাল ইচ্ছে করেই দেওয়া হয়। প্রতি মিলিয়ন সিলিকনের মধ্যে একটি করে ফসফরাস পরমাণুর উপস্থিতি বিবেচনা করা যাক। ফসফরাস পরমাণুর সর্ববহিস্থঃ স্তরে ৫ টি ইলেক্ট্রন রয়েছে। এই পরমাণুর চারটি ইলেক্ট্রন পার্শ্ববর্তী চারটি সিলিকনের সাথে আবদ্ধ থাকলেও একটি ইলেক্ট্রন মুক্তই থেকে যায়, যা কোন বন্ধনে আবদ্ধ থাকে না।
যখন বিশুদ্ধ সিলিকন শক্তিপ্রাপ্ত হয় (যেমন তাপ হতে প্রাপ্ত শক্তি), তখন কিছু ইলেক্ট্রন বন্ধন মুক্ত হয়ে তাদের পরমাণুকে ত্যাগ করে। প্রতিটি ইলেক্ট্রন ত্যাগের ফলে একটি করে হোল তৈরি হয়। এই ইলেক্ট্রনগুলো তখন সিলিকন স্ফটিকের মধ্যে অনবরত ছুটে বেড়ায় এবং হোল খুঁজে বেড়ায় তাতে পড়ার জন্য। এই ইলেক্তড়নগুলোকে মুক্ত বাহক বলে এবং এরাই বিদ্যুৎ পরিবহন করে। বিশুদ্ধ সিলিকনে এই ইলেক্ট্রনের সংখ্যা এতই কম যে তারা তড়িৎ পরিবহনে কোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেনা। ফলে বিশুদ্ধ সিলিকন এক অর্থে বিদ্যুৎ অপরিবাহী। কিন্তু ফসফরাস যুক্ত ভেজাল সিলিকনের কথা আলাদা। এক্ষেত্রে ফসফরাসের বাড়তি ইলেক্ট্রনগুলো খুব অল্প পরিমাণ শক্তিতেই মুক্ত হয়ে যায়- কেননা এই ইলেক্ট্রনগুলো কোন বন্ধনে আবদ্ধ থাকে না। ফলে বিশুদ্ধ সিলিকনের তুলনায় ভেজাল সিলিকনে তড়িৎ পরিবহনের জন্য অনেক বেশি বাহক পাওয়া যায়।বিশুদ্ধ সিলিকনের সাথে ভেজাল মেশানোকে ডোপিং বলা হয়। যখন ফসফরাস মেশানো হয় তখন প্রাপ্ত ভেজাল সিলিকনকে N-type সিলিকন বলা হয়। এক্ষেত্রে ইলেক্ট্রন বাহক হিসেবে কাজ করে এবং ইহার চার্জ negative বলে "n"-type বলা হয়। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে, ডোপিংকৃত সিলিকন বিশুদ্ধ ইলেক্ট্রনের চাইতে বেশ ভাল বিদ্যুৎ পরিবাহক।
প্রকৃতপক্ষে, সৌর কোষের এক অংশ হল N-type. অন্য অংশ বোরন দিয়ে ডোপিং করা হয়, যাকে P-type সিলিকন বলে। বোরনের সর্ববহিস্থঃ শক্তিস্তরে ৩ টি ইলেক্ট্রন রয়েছে। ফলে P-type সিলিকনে বাড়তি ইলেক্ট্রন থাকার পরিবর্তে বাড়তি হোলের সৃষ্টি হয়, যা তড়িৎ বাহক হিসেবে কাজ করে। ইলেক্ট্রনের অনুপস্থিতিই হল হোল, তাই হোলের চার্জ ইলেক্ট্রনের চার্জের বিপরীত অর্থাৎ positive। হোলের চার্জ positive বলেই "p"-type বলা হয়। হোলগুলোও ইলেক্ট্রনের মতই চলাচল করে।
আশ্চর্যজনক ঘটনা তখনই ঘটে যখন N-type এবং P-type সিলিকনকে একত্রে রাখা হয়। এই দুইধরণের সিলিকনকে সংযুক্ত করলে সংযোগস্থলে একটি তড়িৎক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। এই তড়িৎক্ষেত্র ছাড়া আলোক-তড়িৎ কোষ (Photovoltaic cell) কোনভাবেই কাজ করবে না। অর্থাৎ প্রতিটি আলোক-তড়িৎ কোষে কমপক্ষে একটি তড়িৎক্ষেত্র থাকতেই হবে।
এখন দেখা যাক N-type ও P-type সিলিকনকে সংযুক্ত করলে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটে। N-type-এর মুক্ত ইলেক্ট্রনগুলো P-type-এর মধ্যে হোলগুলোকে খুঁজে পায় এবং খুব দ্রুত গিয়ে হোলগুলো পূর্ণ করে। ফলে সংযোগস্থলের N-type-এর দিকে positive charge এবং N-type-এর দিকে negative charge-এর সৃষ্টি হয়।এখন প্রশ্ন হলো যে, সকল মুক্ত ইলেক্ট্রন-ই কি হোলগুলোকে পূর্ণ করে। না, কেননা সংযোগস্থলে একটি তড়িৎক্ষেত্রের সৃষ্টি হয় যার দিক এমন হয় যা কিনা N-type থেকে আরও ইলেক্ট্রনকে P-type-এর দিকে আসতে বাধা হিসেবে কাজ করে।ফলে একসময় একটি সাম্যাবস্থার সৃষ্টি হয় যখন সৃষ্ট তড়িৎক্ষেত্র দুই পার্শ্বকে আলাদা করে রাখে।
চিত্র ১- আলোক তড়িৎ কোষে তড়িৎ ক্ষেত্রের প্রভাব
এখন আমরা দেখব যে, এই অবস্থায় আলো পড়লে কি ঘটে। যখন ফোটন (আলোক কণা) সৌরকোষকে আঘাত করে তখন ইলেক্ট্রন-হোল জোড়া ভেঙ্গে যায় এবং ফলে ইলেক্ট্রন মুক্ত হয়।পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তিবিশিষ্ট প্রতিটি ফোটন কেবলমাত্র একটি ইলেক্ট্রনকে মুক্ত করে এবং সেইসাথে একটি হোল-ও সৃষ্টি হয়। এই ঘটনাটি যদি সৃষ্ট তড়িৎক্ষেত্রের কাছে ঘটে অথবা সৃষ্ট ইলেক্ট্রন ও হোল তড়িৎক্ষেত্রের প্রভাবযুক্ত অঞ্চলের আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়, তবে তড়িৎক্ষেত্রটি N-type-এর দিকে একটি ইলেক্ট্রন এবং P-type-এর দিকে একটি হোল পাঠায়। এই অবস্থায় যদি বাইরে দিয়ে কোন সংযোগের ব্যাবস্থা করা হয়, তবে ইলেক্ট্রনগুলো সেই পথ দিয়ে P-type এলাকায় গিয়ে পৌঁছায় এবং হোল-এ এসে পড়ে। ইলেক্ট্রনের এই প্রবাহই তড়িৎপ্রবাহ সৃষ্টি করে এবং কোষটির তড়িৎক্ষেত্র একটি বিভব পার্থক্য বজায় রাখে। তড়িৎপ্রবাহ এবং বিভব পার্থক্য-এই দুইয়ের সম্মিলনে Power পাই যাকিনা এদের গুণফলের সমান।
চিত্র ২- আলোক তড়িৎ কোষের কার্যপদ্ধতি
এখন প্রশ্ন হলো- এই আলোকতড়িৎ কোষ কি পরিমাণ সৌরশক্তি শোষণ করতে পারে? দুঃখজনক হলেও ইহা সত্য যে, বেশিরভাগ কোষ মোট সৌরশক্তির শতকরা মাত্র ২৫ ভাগ শোষণ করতে পারে।
সূর্যের আলোতে বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো রয়েছে যাদের ফোটনের শক্তিও ভিন্ন ভিন্ন। যেহেতু সৌরকোষের উপর আপতিত আলোর ফোটনের শক্তি বিভিন্ন, তাই ইলেক্ট্রন-হোলযুগল সৃষ্টি করার মত পর্যাপ্ত শক্তি সকল ফোটনের থাকেনা। যে আলো ইলেক্ট্রন-হোলযুগল সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়, সেই আলো সৌরকোষকে অতিক্রম করে চলে যায়। কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তির চেয়ে বেশি পরিমাণ শক্তি থাকলেই সেই ফোটন ইলেক্ট্রনকে মুক্ত করতে পারে। স্ফটিকাকার সিলিকনের জন্য এই শক্তির মান হলো 1.1eV (ইলেক্ট্রন ভোল্ট)। শক্তির এই মানকে আমরা Band gap energy বলি। কোন ফোটনের যদি এই শক্তির চাইতে বেশি পরিমাণ শক্তি থাকে তবে উদবৃত্ত শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।এভাবে সৌরশক্তির শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ নষ্ট হয়ে যায়।
এখন প্রশ্ন হলো যে,আরও বেশি ফোটনকে কাজে লাগানোর জন্য কেন আমরা আরও কম band gap energy বিশিষ্ট পদার্থ ব্যবহার করিনা? দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, band gap energy-ই সৃষ্ট তড়িৎক্ষেত্রের শক্তি নির্দেশ করে। অর্থাৎ কম band gap energy বিশিষ্ট পদার্থের দ্বারা সৃষ্ট কোষে বিভব পার্থক্যের মান নগণ্য হবে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। মোটামুটিভাবে 1.4eV শক্তিকে সৌরকোষের জন্য আদর্শ মান হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
সৌরকোষে ফোটনের শক্তি সংক্রান্ত অপচয় ছাড়াও আরও কিছু অপচয় রয়েছে। ইলেক্ট্রনগুলো কোষের বাইরের সংযোগ দিয়ে প্রবাহিত হয়। কোষের নিচের অংশ ভাল তড়িৎপরিবাহিতার জন্য ধাতব পদার্থ দিয়ে মুড়ে দেয়া হয়। কিন্তু উপরের অংশও যদি পূর্ণভাবে ঢেকে দেয়া হয়, তবে ফোটন অস্বচ্ছ তড়িৎপরিবাহী পদার্থ দিয়ে যেতে পারবে না এবং তড়িৎপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই কিছুক্ষেত্রে স্বচ্ছ তড়িৎপরিবাহী পদার্থ ব্যবহার করা হয়। যদি আমরা ধাতব সংযোগ শুধুমাত্র দুই পাশে দেই তবে সংযোগস্থলে পৌঁছাবার জন্য ইলেক্ট্রনগুলোকে বেশ খানিকটা পথ অতিক্রম করতে হবে। যেহেতু সিলিকনের রোধ বেশি এবং ইহা ধাতুর মত ভাল তড়িৎপরিবাহী নয় সেহেতু ইহার মধ্য দিয়ে বেশখানিকটা পথ অতিক্রম করা ইলেক্ট্রনের জন্য কঠিন হবে। ফলে অপচয় বেড়ে যাবে। এই অপচয় কমাবার জন্য ধাতব grid দ্বারা কোষগুলোকে মুড়ে দেওয়া হয়। ফলে ইলেক্ট্রনগুলোকে আর অধিক পথ অতিক্রম করতে হয়না।
আরও একটি সমস্যা রয়েছে। তা হলো- সিলিকন হলো একটি উজ্জ্বল পদার্থ। ফলে এতে আপতিত ফোটনের অনেকাংশ প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যায়। এই কারণে কোষটির উপরের অংশ অপ্রতিফলক পদার্থ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।পরিশেষে কোষগুলোকে কাঁচের তৈরি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় যেন কোষ অন্যকোন পদার্থের সংস্পর্শে আসতে না পারে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিভব এবং বিদ্যুৎ পাবার জন্য বেশ কিছু কোষ (সাধারণত ৩৬টি) প্রয়োজন অনুযায়ী সংযুক্ত করে PV module তৈরি করা হয়। তারপর কাঁচের ঢাকনা দিয়ে পুরো module টিকে ঢেকে দেওয়া হয়।
কড়ায়-গণ্ডার হিসাব | Mahbub hasan | 592 |
বিশ্ববিদ্যালয়য় ভর্তির জন্য গনিত এর সেট ও ফাংশন এর টেকনিক{MCQ} | Mainul Haque Hira | 889 |
Cool Math Games | Orko Oyon | 1155 |
৯ টি ৯ দিয়ে ১০০ | S.M.A.B. SIDDIK | 774 |
নাড়িকেল চুরি | musha akon | 4800 |
ki vaba shom vob? (2=3) | Enamul hasan | 6395 |
নারিকেল বিক্রি | আতিক | 9063 |
বাক্স রহস্য | আতিক | 7791 |
ডিম বিক্রি | Jahidul Islam | 8070 |
ভাষা নিয়ে সমস্যা | আতিক | 7850 |
জুসের বোতল | আতিক | 7931 |
কত দূর? | আতিক | 7366 |
েকানিট েবিশ ? | আিতক | 7130 |
আম ভাগাভাগি | abir | 8710 |
কবুতর সমস্যা | abir | 9546 |
4 Litter Vs 4 Litter | abir | 8294 |
গ্রাফ দিয়ে যায় চেনা | সাজ্জাদ বিন কামাল | 9587 |
লুকাস রাশিমালা | রাগিব হাসান | 11223 |
গণিতের মূল্য যখন মিলিয়ন ডলার |
আরো নিরাপত্তা দিন উইন্ডোজকে
কম্পিউটারে অন্যের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমরা
উইন্ডোজে পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকি। উইন্ডোজের এই ইউজার পাসওয়ার্ড সহজেই হ্যাক
করা যায়। আবার সিস্টেম (বায়োস) পাসওয়ার্ড দিলেও ভাঙ্গা যায় সহজে। কিন্তু
উইন্ডোজে যদি ইউজার পাসওয়ার্ড ছাড়াও আরেকটি পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত করা
যায় তাহলে কেমন হয়! উইন্ডোজর চালু হবার পরে লগইন স্ক্রিন আসার আগেই একটি
পাসওয়ার্ড সেট করা যায়। এটাকে স্টার্টাআপ পাসওয়ার্ড বলে।
স্টার্টাআপ পাসওয়ার্ড সেট করতে স্টার্ট>রানে (Windows+R চেপে) গিয়ে syskey লিখে এন্টার করুন, তাহলে Security the Windows Account Database ডায়ালগ বক্স আসবে। এখানে Encryption Enabled চেক রেখে Update বাটনে ক্লিক করুন তাহলে Startup Key ডায়ালগ বক্স আসবে। এবার Password Startup চেক করে স্টার্টআপ পাসওয়ার্ড দিয়ে Ok করুন। তাহলে পাসওয়ার্ড সেট হবে এবং নিশ্চিতকরন বার্তা আসবে।
এখন থেকে কম্পিউটার চালু করলে লগইন স্ক্রিন আসার আগেই স্টার্টআপ পাসওয়ার্ড ডায়ালগ বক্স আসবে। এখানে পাসওয়ার্ড না দিলে লগইন স্ক্রিন আসবে না। আর বিকল্প পথে উইন্ডোজে প্রবেশ করা যাবে না।
পাসওয়ার্ড মুছে ফেলতে হলে Security the Windows Account Database ডায়ালগ বক্স থেকে Update বাটনে ক্লিক করে কেনা পাসওয়ার্ড না লিখে Ok করুন। এবার পূর্বের পাসওয়ার্ড লিখে Ok করলেই হবে।
স্টার্টাআপ পাসওয়ার্ড সেট করতে স্টার্ট>রানে (Windows+R চেপে) গিয়ে syskey লিখে এন্টার করুন, তাহলে Security the Windows Account Database ডায়ালগ বক্স আসবে। এখানে Encryption Enabled চেক রেখে Update বাটনে ক্লিক করুন তাহলে Startup Key ডায়ালগ বক্স আসবে। এবার Password Startup চেক করে স্টার্টআপ পাসওয়ার্ড দিয়ে Ok করুন। তাহলে পাসওয়ার্ড সেট হবে এবং নিশ্চিতকরন বার্তা আসবে।
এখন থেকে কম্পিউটার চালু করলে লগইন স্ক্রিন আসার আগেই স্টার্টআপ পাসওয়ার্ড ডায়ালগ বক্স আসবে। এখানে পাসওয়ার্ড না দিলে লগইন স্ক্রিন আসবে না। আর বিকল্প পথে উইন্ডোজে প্রবেশ করা যাবে না।
পাসওয়ার্ড মুছে ফেলতে হলে Security the Windows Account Database ডায়ালগ বক্স থেকে Update বাটনে ক্লিক করে কেনা পাসওয়ার্ড না লিখে Ok করুন। এবার পূর্বের পাসওয়ার্ড লিখে Ok করলেই হবে।
ডেক্সটপ থেকে গুগল ক্যালেন্ডারের ব্যবহার
গল ক্যালেন্ডার এখন বেশ জনপ্রিয়। গুগল ক্যালেন্ডারের বেশ কিছু ওয়েব টুলস
থাকলেও ডেক্সটপে ব্যবহারের মত বেশী কিছু এ্যাপলিকেশন নেই। তবে Azotix
Active Organizer বেশ ভালো এবং ব্যবহার বান্ধব। সফটওয়্যারটি দ্বারা
অফলাইনেও গুগল ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা যায়।
মাত্র ৬৭৭ কিলোবাইটের ফ্রি এই সফটওয়্যারটা www.azotix.com থেকে ডাউনলোড করে নিন। এবার ইনস্টল করে গুগল একাউন্ট (গুগল এ্যাপসের একাউন্ট গুলোও ব্যবহার করা যাবে) লগইন করুন। গুগল ক্যালেন্ডার প্রায় সকল সুবিধা ব্যবহার করা যাবে। অফলাইনে ইভেন্ট দেখা যাবে এবং নতুন ইভেন্ট তৈরী করা যাবে। অনলাইনে সংযুক্ত হলে নির্দিষ্ট সময় পরপর এককালবর্তী করে নেবে।
মাত্র ৬৭৭ কিলোবাইটের ফ্রি এই সফটওয়্যারটা www.azotix.com থেকে ডাউনলোড করে নিন। এবার ইনস্টল করে গুগল একাউন্ট (গুগল এ্যাপসের একাউন্ট গুলোও ব্যবহার করা যাবে) লগইন করুন। গুগল ক্যালেন্ডার প্রায় সকল সুবিধা ব্যবহার করা যাবে। অফলাইনে ইভেন্ট দেখা যাবে এবং নতুন ইভেন্ট তৈরী করা যাবে। অনলাইনে সংযুক্ত হলে নির্দিষ্ট সময় পরপর এককালবর্তী করে নেবে।
রিমোট ইউটিলিটিস দ্বারা কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করা
সফটওয়্যারটির ফ্রি সংস্করণ এবং এন্টারপ্রাইজ সংস্করণ পাওয়া যাবে www.remoteutilities.com থেকে। সফটওয়্যারটি দুটি অংশ একটি ভিউয়ার আরেকটি সার্ভার। যে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করবেন সেই কম্পিউটার সার্ভার সংস্করণ এবং যে কম্পিউটার থেকে দেখবেন সেই কম্পিউটারে ভিউয়ার সংস্করণ ইনস্টল করতে হবে।
কোন্ কোন্ সফটওয়্যার ইন্টারনেট ব্যবহার করছে তা দেখা
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে কোন্ কোন্ সফটওয়্যার ইন্টারনেট ব্যবহার করছে তা জানা থাকলে উক্ত সফটওয়্যার বন্ধ করে দেওয়া যায়। অনেক সময় লুকায়িত সফটওয়্যার যা ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে তা কম্পিউটারের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এসব দেখার এমনই একটি সফটওয়ার হচ্ছে কারপোর্টস।
কারপোর্টস সফটওয়্যারটি দ্বারা ইন্টারনেট সংযোগ দেখার পাশাপাশি কোন কোন TCP/IP এবং UDP পোর্ট ব্যবহৃত হচ্ছে তাও দেখা যায় এবং সফটওয়্যারটির প্রোসের বন্ধ করে দেওয়া যায়। এর সাথে নাম, পাথ, ভার্সন, প্রোসেস তৈরীর সময় এবং ব্যবহারকারীর নাম দেখা যাবে। কারপোর্ট সফটওয়্যারটি বিনামূল্যে www.nirsoft.net/utils/cports.html থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
স্টার্টাপের সময় কম করুন
অনেক কম্পিউটারে আমরা অনেক ধরনের software ব্যবহার করি যা স্টার্টাপের সময়
লোড হয়।যার ফলে এতে প্রচুর সময় লাগে। এই সমস্যা আপনি খুব সহজে সাড়াতে
পারেন। এর জন্য আপনাকে নিচের কাজ গুলো করতে হবে। start>run এ গিয়ে
msconfig কমান্ডটি লিখতে হবে।এরপর একটি box আসবে যাতে startup এ গিয়ে আপনার
যে প্রগ্রাম দরকার তা রেখে অন্যসব আনচেক করুন। এখন ok দিলে restart করুন।
এরপর দেখুন আপনার অনেক সময় কম লাগছে।
ডিজিটাল ক্যামেরার খুটিনাটি
ডিজিটাল ক্যামেরাকে অনেক সময় ফিল্মলেস ক্যামেরা বলা হয়, কারন এতে কোনো ফিল্ম থাকেনা। ডিজিটাল ক্যামেরায় এক ধরনের অপটিক্যাল সেন্সর ব্যবহার করা হয় যা ছবির সাবজেক্ট থেকে আসা আলোকে সমানুপাতিক ইলেক্ট্রনিক চার্জে রূপান্তরিত করে।
বেশিরভাগ ডিজিটাল ক্যামেরায় ইমেজ সেন্সর হিসেবে CCD(Charge Couple Device) ব্যবহার করা হয়। কিছু কমদামী ক্যামেরায় ইমেজ সেন্সর হিসেবে CMOS(Complementary Metal Oxide Semiconductor) টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়। আসল কথা সেন্সরের কাজ হচ্ছে ছবির সাবজেক্ট থেকে আসা আলোকে ইলেক্ট্রনিক চার্জে পরিণত করা। এই কাজটি CCD ও CMOS সেন্সর ভিন্ন ভিন্নভাবে সম্পন্ন করে। এছাড়া CCD ও CMOS এর ম্যানুফ্যাকচারিং পদ্বতি ভিন্ন।
ইমেজ সেন্সর অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোক-সংবেদনশীল ডায়োড (ফটোসাইট) দিয়ে তৈরি। আলোক-সংবেদনশীল ডায়োডগুলো এর ওপর পতিত আলোর তীব্রতার সমানুপাতিক ইলেক্ট্রনিক চার্জ উৎপন্ন করে। আলো যত তীব্র হবে তত বেশি চার্জ তৈরি হবে এবং তীব্রতা কম হলে কম চার্জ তৈরি হবে। এর পরের ধাপ হচ্ছে যেটুকু চার্জ তৈরি হয়েছে তা read করে তার সমানুপাতিক বাইনারি ডাটা তৈরি করা। এই কাজটি করা হয় একটি Analog-to-Digital Converter (ADC) এর মাধ্যমে। CCD সেন্সরযুক্ত ডিজিটাল ক্যামেরায় সেন্সরের ইলেক্ট্রনিক চার্জ সরাসরি ADC-তে চলে যায়। অন্যদিকে CMOS সেন্সরযুক্ত ক্যামেরায় প্রতিটি ফটোসাইটে একটি করে Transistor থাকে যা ইলেক্ট্রনিক চার্জকে Amplify করে ADC-তে প্রেরণ করে। CCD তৈরি করা হয় বিশেষ ধরণের ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে এবং CCD সেন্সর খুবই উঁচুমানের ছবি তৈরি করতে সক্ষম। অন্যদিকে CMOS সেন্সর যে কোনো সাধারণ সিলিকন চিপ উৎপাদনকারী প্ল্যান্টে তৈরি করা সম্ভব। CMOS সেন্সর খুবই Noise sensitive এবং এর আলোকসংবেদনশীলতা কম। অনেক ফোটন (আলো) ফটোসাইটের ওপর না পড়ে Transistor এর ওপর পড়ে, ফলে আলোর তীব্রতা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায় না। তবে CMOS সেন্সর খুবই কম দামি এবং অনেক কম পাওয়ার Consume করে। একটি CCD সেন্সর CMOS সেন্সরের চেয়ে প্রায় ১০০ গুন বেশি ব্যাটারি শোষণ করে। এছাড়া যেহেতু CMOS সেন্সর সাধারণ সিলিকন চিপ প্ল্যান্টে তৈরি করা সম্ভব তাই বিভিন্ন রেজুলেশনের CMOS সেন্সরযুক্ত ডিজিটাল ক্যামেরা বাজারে পাওয়া যায়। অন্যদিকে CCD সেন্সর বাণিজ্যিক কারণে 1.3 মেগাপিক্সেলের নিচে উৎপাদন করা হয় না। তবে CMOS সেন্সর ধীরে ধীরে কোয়ালিটির দিক দিয়ে CCD সেন্সরের সমতুল্য হচ্ছে এবং হাই কোয়ালিটির ডিজিটাল ক্যামেরা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসছে।
ইমেজ সেন্সরে যে ফটোসাইটগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলো সবই কালারব্লাইন্ড। অর্থাৎ এগুলো কেবল আলোর তীব্রতা (ফোটনের সংখ্যা) বুঝতে পারে কিন্তু আলোটি কী রঙের তা আলাদা করতে পারে না। অথচ একটি true কালার ইমেজে লক্ষ লক্ষ কালার থাকে। তবে যে কোনো কালারকেই তিনটি কালারের (Red, Green, Blue) সমন্বয়ে প্রকাশ করা যায় এবং ডিজিটাল ক্যামেরায় এই মূলনীতিটিই ব্যবহার করা হয়। সাবজেক্ট থেকে আসা আলো সেন্সরে পৌছানোর আগে একটি ফিল্টারের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। ফিল্টারের মধ্য দিয়ে তিনটি কম্পোনেন্ট (Red, Green, Blue) কালারের মধ্যে কেবল একটি কম্পোনেন্ট কালার যেতে পারে।
High quality-র ক্যামেরাতে তিনটি কম্পোনেন্ট কালারের জন্য তিনটি পৃথক সেন্সর ব্যবহার করা হয়, যেখানে প্রতিটি সেন্সরের উপর আলাদা ফিল্টার থাকে। সাবজেক্ট থেকে আসা আলো প্রথমে একটি Beam splitter এর মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। Beam splitter একই ছবিকে তিনটি সেন্সরেই প্রেরণ করে। যদিও প্রতিটি সেন্সরেই একই ছবি প্রেরিত হয় তথাপি একেকটি সেন্সর, ফিল্টারের কারণে কেবল একটি রঙের আলোর সমানুপাতিক ইলেক্ট্রনিক চার্জ তৈরি করে। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি পিক্সেলের প্রতিটি কম্পোনেন্ট কালার ইনফরমেশন আলাদা আলাদাভাবে পাওয়া যায় বলে High quality-র ছবি পাওয়া যায়। তবে তিনটি সেন্সর, Beam splitter ইত্যাদি ব্যবহারের কারণে ক্যামেরার আকৃতি বেশ বড় হয় এবং দাম অত্যন্ত বেশি পড়ে যায়। তাই বেশির ভাগ ক্যামেরাতে একটি সেন্সর ব্যবহার করেই প্রতিটি পিক্সেলের কালার ইনফরমেশন নির্ণয় করা হয়। এক্ষেত্রে লাল, সবুজ, নীল ফিল্টারকে সেন্সরের সামনে খুব দ্রুত ঘুরানো হয় এবং সেন্সর একটির পর একটি তিনটি কালারের ইমেজ খুব দ্রুততার সাথে রেকর্ড করে। যেহেতু তিনটি রঙের তিনটি ইমেজ (যদিও তিনটি ইমেজের মধ্যে সময়ের পার্থক্য খুবই কম) সেন্সরে আসে তাই ক্যামেরা অথবা ছবির সাবজেক্ট যে কোনো একটি যদি নড়াচড়া করে তাহলে ঠিকমতো ছবি আসবে না। ছবি ঝাপসা আসবে। তাই এই পদ্ধতি খুব একটা ব্যবহৃত হয় না। বর্তমানে বেশিরভাগ ক্যামেরাতে যে পদ্ধতি ব্যবহৃত হয় তাতে সেন্সর প্রতিটি পিক্সেলের জন্য কেবল একটি কম্পোনেন্ট কালারের ইনফরমেশন রেকর্ড করে এবং ইমেজ প্রসেসিং এর বিভিন্ন এলগরিদম এর মাধ্যমে আশপাশের অন্যান্য পিক্সেলের কালার ইনফরমেশন ব্যবহার করে ঐ পিক্সেলের অন্য দুটি কালার ইনফরমেশন ক্যালকুলেশন করে বের করে। এই পদ্ধতিকে Interpolation বলা হয়। Interpolation পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের ফিল্টার ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ফিল্টার প্যাটার্ন হলো "বেয়ার ফিল্টার প্যাটার্ন"। ফিল্টারের প্যাটার্ন ঠিক করে দেয় কোন পিক্সেলে কোন কালারের ইনফরমেশন রেকর্ড করা হবে। বেয়ার প্যাটার্নে মোট পিক্সেলের অর্ধেক পিক্সেলে সবুজ এবং বাকি অর্ধেক পিক্সেলে লাল ও নীল রঙের ইনফরমেশন রেকর্ড করা হয়, কারণ মানুষের চোখ সবুজের প্রতি বেশি সংবেদনশীল। যেহেতু Interpolation পদ্ধতিতে একটি সেন্সর ব্যবহৃত হয় তাই এই ধরনের ক্যামেরার দাম কম অ আকৃতিতেও ছোট।
প্রতিটি পিক্সেলের তিনটি কালার ইনফরমেশন পাওয়া হয়ে গেলে এ তিনটি কালার ইনফরমেশন যোগ করে প্রতিটি পিক্সেলের true কালার নির্ণয় করা হয়। এভাবে প্রতিটি পিক্সেলের true কালার নির্ণয় করে একটি সম্পূর্ণ ছবি পাওয়া যায়। একটি মোটামোটি রেজ্যুলেশনের ছবির প্রতিটি পিক্সেলের true কালার পৃথক পৃথকভাবে রেকর্ড করলেও ছবিটি মেমোরিতে প্রচুর জায়গা নিবে। যেমন: একটি 1280x960 রেজ্যুলেশনের ছবিতে 1280x960=1228800টি পিক্সেল থাকে। প্রতিটি পিক্সেলের true কালার ইনফরমেশন রেকর্ড করতে যদি 16টি bit লাগে তাহলে ছবিটিকে Uncompressed অবস্থায় রেকর্ড করতে 1228800x16=19660800টি বিট বা 19660800/8=24576001বাইট(2.34375MB)মেমোরি লাগবে। তাই ছবিকে এভাবে Uncompressed অবস্থায় রেকর্ড না করে JPEG বা অন্যান্য Compressed format-এ রেকর্ড করা হয়। এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য ক্যামেরাতে একটি প্রসেসর থাকে। প্রসেসরকে অবশ্য অন্যান্য আরো কাজ করতে হয়।
যে ফটোসাইটগুলো ডিজিটাল ক্যামেরার সেন্সরে ব্যবহার করা হয় সেগুলো আলোর একটি নির্দিষ্ট মাত্রার Intensity(তীব্রতা) পযন্ত সঠিকভাবে মাপতে পারে। এই মাত্রার চেয়ে বেশি Intensity-র আলো পড়লে ফটোসাইটগুলো Saturated হয়ে যায়। Highest intensity-র আলো ফটোসাইটের ওপর পড়লে এটি যে পরিমাণ ইলেক্ট্রনিক চার্জ তৈরি করবে এর চেয়ে বেশি Intensity-র আলো পড়লেও এটি একই পরিমাণ চার্জ তৈরি করবে এবং এ দুটির মধ্যে কোনো পার্থক্য করতে পারবে না। তাই ফটোসাইট যান Saturated না হয়ে যায় সেজন্য ক্যামেরায় Aperture এবং Shutter ব্যবহার করা হয়। Aperture অবস্থান করে Lens এর ঠিক পিছনে। Aperture এর মাধ্যমে নির্ধারিত হয় আলো কতটুকু জায়গার মধ্য দিয়ে সেন্সরে পৌছাবে। রৌদ্রউজ্জ্বল দিনে প্রচুর আলো থাকে বলে এরকম অবস্থায় ছবি তোলার সময় Aperture কম রাখা হয়। অন্যদিকে মেঘলা দিনে আলো কম থাকে বলে Aperture বেশি রাখা হয়। ফলে বেশি আলো সেন্সরে পৌছতে পারে। অনেকটা মানুষের চোখের পিউপিলের মতই Aperture কাজ করে। প্রচন্ড রোদে আমাদের চোখ কুঁচকে আসে আসলে পিউপিলকে সংকুচিত করার জন্য।
অন্যদিকে Shutter speed নির্ধারণ করে আলো কত সময় ধরে ক্যামেরায় প্রবেশ করবে। ফিল্ম বেস্ড ক্যামেরায় Mechanical Shutter ব্যবহার করা হয়। ডিজিটাল ক্যামেরায় Electronic shutter ব্যবহার করা হয়। কোনো কোনো ডিজিটাল ক্যামেরায় Mechanical ও Electronic shutter একত্রে যৌথভাবে shutter এর কাজ করে। ফটোগ্রাফির ভাষায় Aperture ও Shutter speed নির্ধারণ করাকে একত্রে Exposure control বলা হয়। ডিজিটাল ক্যামেরা অটোম্যাটিক Exposure control করতে পারে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল ক্যামেরা একটি Sample ছবি তুলে (কিন্তু রেকর্ড করে না), তা থেকে intensity, focus প্রভৃতি ইনফরমেশন সংগ্রহ করে এবং সেই অনুযায়ী Exposure সেট করে। Exposure control করার ক্ষেত্রে প্রসেসর সাহায্য করে। এছাড়া কোনো কোনো হাই এন্ড ডিজিটাল ক্যামেরায় Manually Aperture ও shutter speed কন্ট্রোল করা যায় যা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের জন্য খুব দরকারি।
Subscribe to:
Posts (Atom)
Hacking post
ডেস্কটপে আগুন লাগিয়ে দিন ! আজ আমি আপনাদের সাথে মজার একটি সফটওয়্যার নিয়ে হাজির হলাম। এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনি আপনার ডেস্কটপ এর ফুল্ডার ...

-
আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি, তারা কম-বেশী সবাই PDF ফাইল পড়ে থাকি। এবং পড়ার জন্য বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে Adobe এর Acrobate Reader ব্যবহার কর...
-
সৌর বিপ্লবের কথা আমরা বেশ কিছু বছর যাবৎ শুনে আসছি, যার মূল মন্ত্র হল - এমন একদিন আসবে যখন আমরা বিনা খরচে বিদ্যুৎ ব্যবহার করব। এই বিদ্যুতের...
-
রিমোট কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার রয়েছে। এর মধ্যে ভিএনসি, টিমভিউয়ার , রিমোট ডেক্সটপ কানেকশন , লগমিইন ইত্যাদি। তবে এমনই...